ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পুতিন, শি জিনপিং এবং কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: ট্রাম্প সৌদি রাজতন্ত্রে একক ক্ষমতাধর মোহাম্মদ বিন সালমান ভেনেজুয়েলার নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জোট গড়ছে চীন দেশের হয়ে ম্যাচে খেলতে চাইছেন না মেসি! ভেজা চোখে ম্যানইউ ছাড়লেন অ্যান্টনি সাড়ে ৫ ঘণ্টা বিলম্ব হলো বাংলাদেশ ফুটবল দলের ফ্লাইট ভারতে বিশ্বকাপ খেলবে না পাকিস্তান বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কোহলি স্পনসর ছাড়াই এশিয়া কাপ খেলবে ভারত পাকিস্তানের সাথে জয় পেলো আফগানরা বিসিবির নির্বাচনে মুখোমুখি বুলবুল-তামিম গত ৫ বছরে ৪৬৫ কোটি টাকা ভাগাভাগি পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় অদৃশ্য শক্তি নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে-গয়েশ্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা নুরকে বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশ ইসির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার নিষিদ্ধ আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার ডাকসুর প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকির ঘটনা তদন্তে কমিটি
এনসিপি-গণঅধিকারের নামও আলোচনায়

নির্বাচনে পিআর আদায়ে সমঝোতার পথে ইসলামী দলগুলো

  • আপলোড সময় : ০৩-০৯-২০২৫ ০৬:৪২:৪৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০৯-২০২৫ ০৬:৪২:৪৫ অপরাহ্ন
নির্বাচনে পিআর আদায়ে সমঝোতার পথে ইসলামী দলগুলো
* নির্বাচনের আগে সংখ্যানুপাতিক ভোটের দাবি আদায়ে মাঠে সরব থাকার বিষয়েও একমত
* এক বাক্সে ভোট আনার সেøাগানও তোলা হচ্ছে
* জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি ধর্মভিত্তিক দলের একমঞ্চে আসার চেষ্টা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবার একই মঞ্চে আসতে আলোচনা চালাচ্ছে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংখ্যানুপাতিক ভোটের দাবি আদায়ে মাঠে সরব থাকার বিষয়েও একমত তারা। দলগুলোর মধ্যে মতের ভিন্নতা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকলেও নির্বাচন লক্ষ্য করে ‘এক বাক্সে ভোট আনার’ স্লোগানও তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি ধর্মভিত্তিক দলের একমঞ্চে আসার চেষ্টা চলছে, তবে তাদের মধ্যে কোনো জোট হবে কি না তা দৃশ্যমান হবে তফসিল ঘোষণার পর। এই সমঝোতায় জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদও যুক্ত হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
জোট নয়, বরং নিজেদের মধ্যে ‘নির্বাচনি সমঝোতা’ তৈরিতে আলোচনা হচ্ছে বলে দাবি করছেন দলগুলোর নেতারা। এখনই নির্বাচন নিয়ে ভাবছেন না তারা, শুরুতে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি আদায়ে একসাথে সরব থাকতে চায় দলগুলো।
এরই মধ্যে একই প্ল্যাটফর্মে আসতে আলোচনা চালাচ্ছে ক্রিয়াশীল বেশ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। আদর্শগত মিল না থাকালেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের মতো বিষয়গুলো তাদের ঐক্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে দাবি করছেন দলগুলোর নেতারা।
তবে একই মঞ্চে আসার আলোচনা চালালেও এটিকে অবশ্য কোনো জোট বলতে চাইছেন না তারা। আপাতত দাবি আদায়ে সংঘবদ্ধভাবে মাঠে থাকার পরিকল্পনা তাদের। যদিও নেতারা বলছেন, নির্বাচনের তফসিলের পর ‘নির্বাচনি সমঝোতা’ হতেও পারে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলছেন, “বিএনপি ছাড়া প্রধান সব দলই সংখ্যানুপাতিক ভোটের বিষয়ে একমত। আমরা চেষ্টা করছি, যারা (সংখ্যানুপাতিক ভোটের) পক্ষের তাদের অনেকের সাথেই আমরা আবার কথা বলছি।”
্ওছাড়া পিআর পদ্ধতির বাস্তবায়ন এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিতের অভিন্ন দাবিতে সরব অন্য দলগুলোর সঙ্গেও কথা বলছে ধর্মভিত্তিক দলগুলো। এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টির নামও এসেছে এই আলোচনায়।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, “জোটের ব্যাপারে এখনো কারো সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি। তবে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল তাদের সবার সাথেই আমাদের সু-সম্পর্ক আছে।” আর ইসলামী দলগুলোর সাথে ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির’ অভিন্ন দাবিতে একমত হলেও এটি কোনো রাজনৈতিক সমঝোতা বা জোট নয় বলে জানিয়েছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।
গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনৈতিকভাবে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে নানা কৌশল নিচ্ছে দলগুলো, আর সেখানেই আসছে নির্বাচনি জোট বা সমঝোতার প্রসঙ্গটি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন কিংবা মাঠের আন্দোলনে দলীয় মেরুকরণ নতুন নয়। অতীতেও বিএনপি-জামায়াত কিংবা আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ অন্য অনেক দলই জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন ও নির্বাচন করেছে।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বলছেন, “জোট হবে না। এটি নির্বাচনি সমঝোতা, আসন বিন্যাস। যার যেখানে যোগ্য প্রার্থী আছে আলাপ-আলোচনা করে সেখানে ওই দলের প্রার্থী থাকবে, অন্য দলের লোকেরা তাকে সমর্থন করবে।” ইসলামী দলগুলো ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ‘নির্বাচনি সমঝোতা’ হওয়ার আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
মি. আকন বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলমান একদলীয় পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেশপ্রেমিক দলগুলোকে এক জায়গাই আনতেই নির্বাচনি সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে।
“রাজনৈতিক সমঝোতা, মার্শাল ল কিংবা একদলীয় শাসন বলেন, সবই কিন্তু ট্রাডিশনাল নির্বাচনের পরপরই হয়েছে। শেখ মুজিবের ৭৩ এর নির্বাচনের পরই কিন্তু বাকশাল হয়েছে, জিয়াউর রহমানের মার্শাল ল হয়েছে। খালেদা জিয়া কিংবা শেখ হাসিনার সময়ও ক্ষমতায় নির্বাচিত সরকারই ছিল, তবে তথাকথিত নির্বাচনের কারণে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে,” বলেন মি. আকন।
পিআর পদ্ধতির মধ্য দিয়েই দেশের নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার হতে পারে বলে মনে করে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো, যার মাধ্যমে দেশের সব মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে বলেই মনে করে তারা। আর এ কারণেই পিআর পদ্ধতি, সংস্কার এবং ফ্যাসিবাদের বিচারের দাবি আদায়ে সংঘবদ্ধভাবে মাঠে থাকার কথা বলছে দলগুলো।
তবে নির্বাচনি জোটের ব্যপারে এখনো আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলছেন, “নির্বাচনি আলোচনা আমরা এখনই করছি না। সে বিষয়েও আমরা কথাবার্তা বলবো। বিভিন্নভাবে বলা হচ্ছে, এখনো ফরমাল হয়নি।” তিনি জানান, আপাতত পিআর এর দাবি আদায়ে একসাথে কাজ করতে সংগঠিত হচ্ছে ইসলামী দলগুলো। “আমরা নির্বাচন কমিশনের সাথে যে ৩১টি দল বসছিলাম এর ভেতরে প্রায় ২৫টি দলই পিআর এর পক্ষে ছিল। এই ইস্যুতে- উই আর অলমোস্ট কমন, একসেপ্ট বিএনপি,” বলেন মি. তাহের।
দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যেই আবর্তিত বাংলাদেশের রাজনীতি। এর বাইরে জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে হাতেগোনা কয়েকটি দল।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স